নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছিল সেই ব্যাংকার!

নিজস্ব প্রতিবেদক, উখিয়া (কক্সবাজার)
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
ব্যবসায়ীর ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই নিজের অপহরণের নাটক সাজিয়েছিলেন ব্যাংকার! কক্সবাজারের কাছের উপজেলা উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংকিং) শাখার ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেন এই কাণ্ড করেন। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
সুত্র মতে, কুতুপালংয়ের বালুখালী এলাকার মো. আয়ুবের ছেলে ব্যবসায়ী মো. ইকবাল ব্যাংকে রাখার জন্য ৩০ জুন ক্যাশিয়ার হামিদ হোসেনকে ২৪ লাখ টাকা দেন। হামিদ এই টাকা ব্যাংকে না দিয়ে গা ঢাকা দেন। এর তিনদিন পর শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বাড়ি ফেরেন হামিদ। ফিরে এসে তিনি জানান, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল। ২ জুলাই অপহরণকারিরা তাঁকে বালুখালী ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মরা আমগাছতলায় রেখে যায়। অপহরণকারিরা তাঁর থেকে লেনদেনের প্রায় ২০ লাখ টাকা লুট করে নিয়েছে বলেও প্রচার করতে থাকেন।
এদিকে হামিদ হোসেন নিখোঁজের দিনই ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়িতে সাড়ে ২৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবসায়ী মো. ইকবাল। হামিদ ফিরে এসেছে জানতে পেরে শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামিদকে আটক করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করে ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশ। এই উদ্ধার অভিযানে হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশের একটি দলও অংশ নেয়।
ঘুমধুম ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, ইকবাল একজন ফার্মেসি ব্যবসায়ী। তাঁর সঙ্গে হামিদের আগে থেকে পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য সাড়ে ২৪ লাখ টাকা দেন। হামিদ অপহরণের নাটক সাজিয়ে টাকাগুলো আত্মসাৎ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকাও উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
হোয়াইক্যং ফাঁড়ি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান জানান, হামিদের পরিচিত জাহাঙ্গীর নামের একজনের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসীর সন্দেহ, ছোট ব্যবসায়ী মো. ইকবাল এত টাকা কোথায় পেলেন? টাকার উৎস খতিয়ে দেখার দাবি তাঁদের।
প্রসঙ্গত, হামিদ টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়া গ্রামের খাইরুল আলমের ছেলে।
এই পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।