ক্রিকেটার আর এক সাধারণ মেয়ের প্রেমের গল্প
1 min read

ক্রিকেটার আর এক সাধারণ মেয়ের প্রেমের গল্প

জীবন ডেস্ক
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

(বলা হয়ে থাকে প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে। এই ফাঁদে নিয়মিত পড়ছে আমজনতা থেকে শুরু করে বিশিষ্টজন। আজ এক ক্রিকেট অধিনায়কের প্রেমকাহিনী।)

কলকাতার তাজ বেঙ্গলের লবি। ভারতীয় ক্রিকেট দল কলকাতা টেস্ট খেলায় জন্য এই হোটেলেই উঠেছে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন কূল মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে মাতামাতির শেষ নেই। তাঁর লম্বা চুলে যেন যাবতীয় মাদকতা।

এহেন ধোনির চোখ আটকে গেল তাজ বেঙ্গল এর এক ইন্টার্ন তরুণীর দিকে.. আপনাকে আগে কোথাও কি দেখেছি? মেয়েদের মন জয় করার পুরোনো কোনও কৌশল?

না, মাহেন্দ্র সিং ধোনি এবং সাক্ষী আহজা সেদিন বুঝতে পারেননি যে অনেক বছর আগে তাঁরা স্কুলে সহপাঠী ছিলেন। মিস্টার মিসেস ধোনি হওয়ার পরে তাঁরা তা জানতে পারেন।

ধোনির বাবা আর সাক্ষীর বাবা সহকর্মী ছিলেন। দুজনের মধ্যে এখনও যোগাযোগ থাকলেও ধোনি বা সাক্ষী একে অপরকে চিনতেন না। একে রূপকথা ছাড়া আর কি বলবেন? তাজ বেঙ্গলে ইন্টার্নশিপের শেষ দিন ছিল সাক্ষীর। কিন্তু ততক্ষণে ভারতের তরুণীকুল যার জন্যে পাগল সেই ধোনি পাগল হয়েছেন অউরাঙ্গদাবাদ হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রী সাক্ষীর জন্যে।

ম্যানেজার যুধাজিত দত্তের মাধ্যমে সাক্ষীর ফোন নম্বর জোগাড় করলেন ধোনি। তারপর মেসেজের পর মেসেজ। সাক্ষী প্রথমে ভেবেছিলেন, কেউ রসিকতা করছে। যখন বুঝলেন স্বয়ং ভারত অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি এই প্রেমের বার্তা পাঠাচ্ছেন ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই বার্তাপ্রেরকের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন সাক্ষীও।

প্রথম ডেটের দিন হাঁটু গেড়ে বসে ধোনি সাক্ষীর জুতোর স্ট্র্যাপ ঠিক করে দিলেন। রূপকথার প্রেম ছাড়া এটাকে আর কি বলবেন?

২০১০ এর ৪ জুলাই মাহি-সাক্ষীর বিয়ে হলো। এগারো বছরে প্রেম আরও নিবিড় হয়েছে। দুই থেকে তিন হয়েছে ধোনি দম্পতি। এসেছে কন্যাসন্তান জিভা। একাদশতম বিবাহ বার্ষিকীতে ধোনি সাক্ষীকে উপহার দিলেন একটি ভিন্টেজ কার। এই উপহারেও কি রূপকথার ছোঁয়া নেই?
সুত্র : মানবজমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *