
তালেবান লক্ষ্যে একের পর এক বিমান হামলা যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব ডেস্ক
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
চলতি সপ্তাহে আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি তালেবান লক্ষ্যে একের পর এক সামরিক বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে সরকারি বাহিনী তালেবানের হামলার মুখে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের সহায়তা করতে এই হামলা চালানো হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলাগুলোর মধ্যে দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ শহর কান্দাহারে হামলাটি তাৎপর্যপূর্ণ, যে তালেবান বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে যাচ্ছিল। ওই সময়ে এই বিমান হামলা তালেবানের হাতে কান্দাহার পতন ঠেকিয়ে দেয়।
তালেবানের এক বিবৃতিতে থেকে জানা গেছে, হেলমান্দ প্রদেশেও বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বিমান হামলার কড়া নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছর সেনা প্রত্যাহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের যে চুক্তি হয়েছিল এ হামলার মাধ্যমে সেটির অবমাননা করা হয়েছে। এজন্য কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও বিবৃতিতে হুমকি দেয়া হয়েছে।
তালেবান যোদ্ধাদের সাম্প্রতিক অগ্রযাত্রায় দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর সবগুলোর নিরাপত্তাই হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণ গ্রহণেরও ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী কাবুলও।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য প্রভাবশালী দেশগুলো আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি করতে চাপ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু তালেবানদের ধারণা, তারা এই যুদ্ধে জয় পেতে যাচ্ছে। তাই সমঝোতার বিষয়ে খুব কমই ছাড় দিচ্ছে তারা।
তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তান পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে বলে বুধবার সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ার জেনারেল মার্ক এ মাইলি।
পেন্টাগনের কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে বিমান হামলা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে রাজি হননি তারা।
এ সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড জে অস্টিন থ্রি জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে অপারেশনের জন্য তাদের সামরিক বাহিনী কাতারের ঘাঁটিতে যুদ্ধ সরঞ্জামের মজুদ বাড়িয়েছে।
কান্দাহারে আফগানিস্তানের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি, এ ধরণের বিমান হামলা কান্দাহার শহর থেকে তালেবানদের দূরে সরিয়ে রাখবে।’
এদিকে কাবুলে মঙ্গলবার ঈদের নামাজের জন্য জমায়েত হওয়া লোকজনের রকেট হামলা চালানোর দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেটের একটি শাখা।