
চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটেই ঢাকায় ফিরছে মানুষ
ডেস্ক রিপোর্ট
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
আবদুল বাতেন কাজ করেন ঢাকার একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা ফিরেছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে। ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরতে তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। আমিন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে আসতে পারলেও পুলিশি বাধায় ব্রিজেই নামতে হয় তার।
শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে, মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেলে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন তারা। খবর জাগোনিউজের।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। চলমান বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মানুষ। কষ্ট করে ঢাকায় আসার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের।
বাস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে। তবে প্রবেশমুখে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা গাড়ি, মোটরসাইকেল চেক করছেন। জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্য কোনো গাড়িকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
দারুস সালাম জোনের ট্রাফিক সার্জেন্ট সৌরভ বলেন, ঈদ-পরবর্তী সময় তো, এজন্য রোগীর প্রেসার কম। যেহেতু এখন কোভিডের সময়, লকডাউন চলছে সেহেতু আমরা প্রত্যেকটা গাড়ি চেক করছি। চিকিৎসার গাড়ি, খাদ্য পরিবহনের গাড়ি ব্যতীত সব গাড়ি চেক করছি আমরা।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কারণ দেখাতে না পারে তাহলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। অপ্রয়োজনে যারা মোটরসাইকেল নিয়ে আসছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ভোর ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৬টা মামলা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।