চকরিয়ার ১০ ইউনিয়নে আ.লীগ ও বিদ্রোহীদের জয়-জয়কার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া (কক্সবাজার)
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের বৃহত্তর উপজেলা চকরিয়ার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন রবিবার (২৮ নেভেম্বর) বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের পাঁচজন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত ‘বিদ্রোহী’ দুইজন ও স্বতন্ত্র ভাবে প্রতিদ্বন্ধিতাকারি তিনজন প্রার্থী বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এবার প্রথমবারের মতো লক্ষ্যারচর ও সাহারবিল ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয়। স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। কোন কোন ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে বিকাল চারটার আগেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। আবার কয়েকটি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি বেশী হওয়ায় বিকাল চারটা পর্যন্তই যথারীতি ভোটগ্রহণ চলে।
নির্বাচনের দিন উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সবগুলো ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে এসব কেন্দ্র গুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিপুলসংখ্যক র্যাব, দু’টি সাজোয়া যানসহ বিপুল সংখ্যক বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করেন।
শান্তিপূর্ণ এই নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা হলেন লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে মহিউদ্দিন মো. আওরঙ্গজেব বুলেট (নৌকা), ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (নৌকা), পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ফারহানা আফরিন মুন্না (নৌকা), পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), বদরখালী ইউনিয়নে নূরে হোছাইন আরিফ (নৌকা), শাহারবিল ইউনিয়নে নবী হোছাইন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাকারা ইউনিয়নে মো. শাহাব উদ্দিন (আ.লীগ বিদ্রোহী), কোনাখালী ইউনিয়নে দিদারুল হক সিকদার (আ.লীগ বিদ্রোহী), বিএমচর ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইকবাল (স্বতন্ত্র)।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, চকরিয়া উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটাররা নির্ভয়ে ও স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনের দিন ইউনিয়ন গুলোর সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বিপুলসংখ্যক র্যাব, সাজোয়া যানসহ বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়। এছাড়া ২৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনকালীন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।
বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।
এই পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।