টেকনাফে ইয়াবার ভাগাভাগি নিয়ে ‘কমিশনার দীলু গ্রুপে’র সংঘর্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টেকনাফ (কক্সবাজার)
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পৌরসভার উত্তর নাইট্যংপাড়া এলাকায় স্থানীয় কমিশনার দিল মোহাম্মদ দিলুর নিয়ন্ত্রিত ইয়াবা কারকারিদের মাঝে বিশাল একটি ইয়াবার চালানের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এই ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছে। তৎমধ্যে মোহাম্মদ হোসেন ভুলিক্কাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্র মতে, গত ২৫ ফেব্রূয়ারি গভীর রাতে নাফনদী সাঁতরিয়ে মিয়ানমার থেকে এক লাখের অধিক একটি ইয়াবার চালান আসে কমিশনার দিলুর নিয়ন্ত্রিত টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া এলাকার মোঃ হাবিব সিন্ডিকেটের হাতে। চালানটি আসার পর এলাকায় হৈচৈ শুরু হলে কমিশনার দিলুর হেফাজতে নেয়া হয়।
সুত্র মতে, দুই লাখ টাকার বিনিময়ে গত ২৮ ফেব্রূয়ারী ইয়াবার চালানটি হাবিব বুঝিয়ে দেন। ওইদিন সকালে এই ইয়াবার চালানটির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে হাবিব সিন্ডিকেটের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। হাবিব সিন্ডিকেটের ইদ্রিস, ইয়াসিন, আলমগীর হোসেন, শুকত আলী ও উমর আলীর নেতৃত্ব হামলা চালানো হয়।
এতে দুইজন আহত হন। এরা হলেন উত্তর নাইট্যং পাড়া এলাকার শহর মুল্লুকের দুই ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ওরফে ভুলিক্কা ও ইমাম হোসেন।
এদের মধ্যে ভুলিক্কা মারাত্নক জখম হয় বলে জানা গেছে। বর্তমানে সে চট্রগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আহতরাও হাবিব সিন্ডিকেটের লোকজন। মূলত ইয়াবার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে এই সংঘর্ষ বাধে। হামলাকারি সবাই কমিশনার দিল মোহাম্মদ দিলুর মেয়ের জামাইসহ ঘনিষ্ট আত্নীয়। টেকনাফের ১০২ জন আত্মস্বীকৃত কারবারিদের মধ্যে নাইট্যং পাড়ার লাল মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিবও একজন।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ পৌরসভার কমিশনার দিল মোহাম্মদ দিলুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আহতরা ও হামলাকারীরা তার ঘনিষ্ট আত্মীয় বলে অপকটে স্বীকার করেন।
এই পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।