
পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া সেই তরুণী মারা গেলেন
সারাদেশ ডেস্ক
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় গায়ে পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া সেই তরুণী তামান্না খাতুন মারা গেছেন।
সোমবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
গৃহবধূ তামান্না পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল হকের মেয়ে।
গত ৫ মে সন্ধ্যায় বাড়ির পেছনে কপোতাক্ষ নদের পাড়ে বর্তমান স্বামীসহ ওই তরুণীকে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেন। এরপর থেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই গৃহবধূ।
আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনায় তরুণীর বাবা আব্দুল হক পাটকেলঘাটা থানায় সাবেক স্বামী মালয়েশিয়াপ্রবাসী সাদ্দাম হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
প্রধান অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেন কলারোয়া উপজেলার তুলসিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
তামান্না খাতুনের মামা সাতক্ষীরা সদরের বাসিন্দা গোলাম সরোয়ার বলেন, তামান্না চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা গেছেন। আমরা নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। পাটকেলঘাটা থানার এসআই লিটন হত্যায় জড়িতদের বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করেছেন নানাভাবে। আমরা তারও বিচার দাবি করছি।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ মেয়েটি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বর্তমানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কৃষ্ণ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে অবস্থান করছেন।
মামলায় ইতোমধ্যে প্রধান আসামি সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে আটক করা হয়েছে। তিনি শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাছাড়া তরুণীর বর্তমান স্বামী ফরহাদ হোসেনও দগ্ধ অবস্থায় ওই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি বলেন, মূলত সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেন নিজের গায়েও পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে একসঙ্গে মরবেন বলে তরুণীকে জড়িয়ে ধরেন। তখন তিনজনই কমবেশি দগ্ধ হন।
এই মামলায় অপর এক আসামি পাটকেলঘাটার বড় কাশিপুর গ্রামের শেখ আব্দুল আলালের ছেলে শেখ তুহিন হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি কাঞ্চন কুমার।