সম্রাট অবশেষে কারামুক্ত
1 min read

সম্রাট অবশেষে কারামুক্ত

ডেস্ক রিপোর্ট
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জামিনে মুক্ত হয়েছেন। সরিয়ে নেয়া হয়েছে পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের।

বুধবার (১১ মে) বিকেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলার মাহবুবুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারা কর্মকর্তা জামিনের কাগজ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা সম্রাটের কাছে নিয়ম-কানুন মেনে তাকে জামিনে মুক্ত করেন। এসময় তার পাহারায় থাকা কারারক্ষীদের সরিয়ে নেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে জামিনে মুক্ত করা হয়।

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলাতেই জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। নতুন করে আর কোনো মামলা না থাকায় কারামুক্তি পেলেন তিনি।

বুধবার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পান সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

শর্তসমূহ হলো আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করা যাবে না, পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার প্রতিবেদন আদালতের ধার্য করা আগামী তারিখে জমা দিতে হবে।

এদিন মামলার অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাটের আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। একই সঙ্গে তার জামিন আবেদনও করেন।

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তিন শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ১১ এপ্রিল রমনা থানার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার। আগের দিন ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন।

দুদকের মামলার অভিযোগ মতে, ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।

পরে বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওইদিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *