
বাঁকখালীর চরে ফিশিং বোটে এক লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা, গ্রেফতার নুনিয়াছড়ার মাহমুদুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
কক্সবাজার শহরতলির খুরুশকুল আশ্রয়ন প্রকল্প সংলগ্ন বাঁকখালি নদীর চরে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। ওই সময় মাহমুদুল হক নামের একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়ার মাহমুদুল হক (৫৩) কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের উত্তর নুনিয়াছড়ার মৃত ছিদ্দিকের ছেলে।
র্যারের তথ্য মতে, র্যাব-১৫, কক্সবাজারের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদ পায় কতিপয় সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ি ২টি ফিশিং বোটযোগে বড় ধরণের ইয়াবার চালান নিয়ে সমুদ্রপথে খুরুশকুল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আশ্রয়ন প্রকল্পের সামনে বাঁকখালি নদীর চরের দিকে আসছে। ওই সংবাদ পেয়ে ১৫ আগস্ট ভোর রাত পৌণে ৪টায় র্যাব কক্সবাজার সিপিএসসি’র একটি আভিযানিক দল ওই স্থানে মাদক বিরোধি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
তাদের মতে, অভিযানকালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ফিশিং বোটে থাকা মাদক কারবারি ও মাদক ক্রয়ের উদ্দেশ্যে নদীর পাড়ে অপেক্ষমান কতিপয় ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে মাহমুদুল হক নামে একজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানায়, ওই বোটের ভিতর বিশেষ কায়দায় রক্ষিত অবস্থায় ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে। পরে আটক ব্যক্তির দেহ ও ২টি ফিসিং বোট তল্লাশী করে বোটে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত মাছ রাখার বাক্সের ভিতর থেকে এক লাখ চল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি সীম কার্ড উদ্ধার এবং মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ২টি ফিশিং বোট জব্দ করা হয়।
ধৃত মাদক কারবারি মাহমুদুল হক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে এবং পলাতক অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়িরা একটি মাদক কারবারি চক্র। তারা পরস্পর যোগসাজশে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য ইয়াবা বোটযোগে নিয়ে আসে এবং নিজেদের হেফাজতে মজুদ করে। পরে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে।