হাত-পা বেঁধে ১০ বছরের ভাতিজীকে ধর্ষণ করলো লম্পট চাচা
1 min read

হাত-পা বেঁধে ১০ বছরের ভাতিজীকে ধর্ষণ করলো লম্পট চাচা

বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

নতুন কাপড় সেলাই করে দেয়ার কথা বলে টেইলার্সে নিয়ে ১০ বছরের এক কিশোরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণ করেছে এক পাষন্ড চাচা। শুধু তাই নয়, হাত-পা বেঁধে রেখে মুখে টেপ লাগিয়ে প্রায় দুইদিন ধরে আটকে রাখে ওই কিশোরীকে।

ধর্ষিত ওই কিশোরী কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণকারী সাদ্দাম হোসেন সম্পর্কে ওই কিশোরী চাচা হয়। সে ওই এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে।

ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানান, গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি দুপুরে দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাকের একটি সভায় গিয়েছিলেন। ওইদিন তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে মেয়েকে ফুসলিয়ে নতুন কাপড় সেলাই করে দেয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে বের করে টেইলার্সে নিয়ে যায় ওই এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৫)। মঙ্গলবার সারারাত পুরো এলাকা খুঁজেও সন্ধান পাননি ১০ বছর বয়সী তার মেয়ের।

তিনি দাবি করেন, পরদিন (বুধবার) সকাল ১১টার দিকে সন্দেহ করে সাদ্দামের টেইলার্সে খোঁজ নেন তিনি। খোঁজ নিতে গেলে প্রথমে তাকে দোকানে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। পরে জোর করে টেইলার্সের পেছনের রুমে গেলে তার মেয়েকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে লাল টেপ মোড়ানো অবস্থায় দেখতে পায় ধর্ষিতা মেয়েটির মা।

ওখান থেকে মেয়েকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করার সময় পালিয়ে যায় ধর্ষক সাদ্দাম হোসেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন মেয়েকে।

ধর্ষিতা কিশোরী মায়ের দাবি, অনেক আগে থেকেই এই লম্পট চাচা তার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। ওই কারণেই তার পড়–য়া মেয়েকে স্কুল থেকে নামিয়ে ফেলতে বাধ্য হন তিনি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির জানান, ধর্ষণের বিষয়ে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। জড়িতকে ধরতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

ওসি জানান, ধর্ষিতার পরিবার থানায় না এসে আগে এলাকায় সামাজিকভাবে আপোষের জন্য চেষ্টা চালিয়েছিলেন। পরে থানায় এসে এজাহার জমা দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *