কক্সবাজারে ফারুকের ইয়াবা সাম্রাজ্য : দুপুরে ১৪ লাখ, বিকালে এক কোটি ৬৫ লাখ টাকা ও রাতে ৩ লাখ ৭৫ ইয়াবা উদ্ধার

Yaba Faruk 1

বিশেষ প্রতিবেদক
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া যেন ইয়াবার এক স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। এই এলাকা থেকে একের পর এক ইয়াবার চালান ও ইয়াবা ব্যবসায়ি ধরা পড়ছে। পুলিশের ভাষ্যমতে, এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ চালান ১৪ লাখ পিস ইয়াবা ও নগদ এক কোটি ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধারের পর একই পাচারকারির চাচা শ্বশুরের বাড়ি থেকে একই দিনে আরও ৩ লাখ ৭৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের চৌফলদন্ডী ব্রীজ এলাকা থেকে ৭টি বস্তা বোঝাই ১৪ লাখ পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলাম ও ঝিলংজা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার রাজিয়া বেগমের বড় ছেলে জহিরুল ইসলাম ফারুক ও ট্রলার মাঝি নুরুল আমিন বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জহিরুল ইসলাম ফারুকের উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুইটি বস্তা বোঝাই এক কোটি ৭০ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

এই উদ্ধার অভিযানের কয়েকঘন্টা পরই রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবারও অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এবার জহিরুল ইসলাম ফারুকের বাড়ির কাছে তার চাচা শ্বশুর সৈয়দ হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি প্লাষ্টিকের খাচার মধ্যে ৩৭ প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, ওই প্যাকেটে ৩ লাখ ৭৫ হাজার পিস ইয়াবা রয়েছে। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই অভিযান চলে।

সারাদিনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম ফারুকের শ্বশুর আবুল কালাম ও শ্যালক শেখ আবদুল্লাহও রয়েছেন।

এ নিয়ে সারাদিনের পুলিশী অভিযানে ১৭ লাখ ৭৫ হাজার পিস ইয়াবা ও নগদ এক কোটি ৬৫ লাখ ৫০০ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এই অভিযানে জহিরুল ইসলাম ফারুক ও নুরুল আমিন বাবু ছাড়াও ফারুকের চাচা শ্বশুর সৈয়দ হোসেনের গৃহপরিচারিকাকেও আটক করা হয়।

উত্তর নুনিয়াছড়ায় শেষ অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চৌফলদন্ডী ব্রীজ এলাকা থেকে ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক জহিরুল ইসলাম ফারুকের চাচা শ্বশুর উত্তর নুনিয়াছড়ার ছৈয়দ আলমের বাড়ি থেকে আরও ৩ লাখ ৭৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। দু’টি বস্তাতে এসব ইয়াবা রক্ষিত অবস্থায় পাওয়া যায়।

তিনি জানান, দুপুরে গ্রেপ্তার হওয়া জহিরুল ইসলাম ফারুকের দেয়া স্বীকারোক্তি মতে বিকাল ৫টার দিকে উত্তর নুনিয়াছড়াস্থ তার বাড়ি থেকে দুইটি বস্তাভর্তি এক কোটি ৭০ লাখ ৬৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ফারুকের শ্বশুর ও এক শ্যালককে আটক করা হয়।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান জানিয়েছেন, ১৪ লাখ ইয়াবাসহ আটক হওয়ার জহিরুল ইসলাম ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা ও ইয়াবা রাখার কথা স্বীকার করে। পরে দ্বিতীয় দফায় তার চাচা শ্বশুর ছৈয়দ আলমের বাড়িতেও বিপুল পরিমাণ ইয়াবা থাকার কথা স্বীকার করে ফারুক। তার দেয়া তথ্য মতেই অভিযান চালিয়ে দু’টি বস্তাভর্তি টাকা ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

ইয়াবা এবং টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত এবং চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।

দুপুরের অভিযান
কক্সবাজার জেলায় এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান জব্দ করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। ১৪ লাখ পিস ইয়াবার এই চালানটির সাথে পাচারে জড়িত দুই ইয়াবা কারবারিকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে ওই ওই ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দাবি মতে, ৭টি বস্তায় বোঝাই করা ২০ কাট (৭ বস্তায় ১৪০ কার্টুন), যাতে ১৪ লাখ ইয়াবা ছিল।

ওই সময় বৃহৎ এই চালান পাচারে জড়িত দুই মাদক কারবারি জহিরুল ইসলাম ওরফে ফারুক (৩৭) ও নুরুল আমিন ওরফে বাবুকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়।

জহিরুল ইসলাম ফারুক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি মেম্বার রাজিয়া বেগমের ছেলে ও নুরুল আমিন বাবু একই এলাকার মোজাফফরের ছেলে।

ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালায়।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, এই চালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যতদূর জানা যায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ইয়াবা চালান (১৪ লাখ পিস) এটি।

পুলিশ সুপার জানান, ধৃত দুইজনের মধ্যে একজন ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে নদীতে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। ডিবি পুলিশের দুইজন সদস্য পাল্টা নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে উলঙ্গ অবস্থায় ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান নিজেই পুরো অভিযানটি পরিচালনা ও তদারকি করেন।

প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে ধৃত জহিরুল ইসলাম ফারুকের ভগ্নিপতি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি এখনও কারাগারে আছেন।

বিকালের অভিযান
কক্সবাজার জেলায় এ যাবতকালের সর্ববৃহৎ নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেটের চালান জব্দ করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। ১৪ লাখ পিস ইয়াবার এই চালানটির সাথে পাচারে জড়িত দুই ইয়াবা কারবারিকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার চৌফলদন্ডী ব্রীজের কাছে একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে ওই ওই ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের দাবি মতে, ৭টি বস্তায় বোঝাই করা ২০ কাট (৭ বস্তায় ১৪০ কার্টুন), যাতে ১৪ লাখ ইয়াবা ছিল।

ওই সময় বৃহৎ এই চালান পাচারে জড়িত দুই মাদক কারবারি জহিরুল ইসলাম ওরফে ফারুক (৩৭) ও নুরুল আমিন ওরফে বাবুকে (৫৫) গ্রেফতার করা হয়।

জহিরুল ইসলাম ফারুক কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি মেম্বার রাজিয়া বেগমের ছেলে ও নুরুল আমিন বাবু একই এলাকার মোজাফফরের ছেলে।

ডিবি পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালায়।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, এই চালানের সাথে একটি চক্র জড়িত। এই চক্রের দুইজনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যতদূর জানা যায় এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ইয়াবা চালান (১৪ লাখ পিস) এটি।

পুলিশ সুপার জানান, ধৃত দুইজনের মধ্যে একজন ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে নদীতে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। ডিবি পুলিশের দুইজন সদস্য পাল্টা নদীতে লাফ দিয়ে সাঁতরে উলঙ্গ অবস্থায় ওই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান নিজেই পুরো অভিযানটি পরিচালনা ও তদারকি করেন।

প্রসঙ্গত, ইতোপূর্বে ধৃত জহিরুল ইসলাম ফারুকের ভগ্নিপতি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন। তিনি এখনও কারাগারে আছেন।

এই পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।