
সমুদ্র উপকূলে ৮ লাখ ইয়াবা র্যাবের কব্জায়, চালানে জড়িত ‘বড় চক্র’
বিশেষ প্রতিবেদক
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
কক্সবাজারের কাছের উপজেলা উখিয়ার ইনানী সমুদ্র উপকূল থেকে ৪০ কোটি টাকা মূল্যের আট লাখ পিস ইয়াবার একটি বড় চালান জব্দ করেছে র্যাব। ওই চালানের সাথে একজন রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে র্যাব মনে করছে, বড় এই চালানের সাথে কোন ‘বড় চক্র’ জড়িত রয়েছে। র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ওই চক্র সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন ধৃত রোহিঙ্গা যুবক।
জব্দ করা ইয়াবার এই বড় চালান নিয়ে সোমবার (২৮ অক্টোবর) র্যাবের কক্সবাজারস্থ কোম্পানি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি দাবি করেছেন র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলমাম।
মেজর রবিউল ইসলাম জানান, সাগরপথে ইয়াবার একটি বড় চালান আসছে- এমন খবর পেয়ে রোববার (২৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইনানী রয়েল টিউলিপ সংলগ্ন সৈকত এলাকায় অভিযানে যায় র্যাব সদস্যরা। অভিযান টের পেয়ে ওই চালানের সাথে জড়িত অন্তত পাঁচ পাচারকারি পালিয়ে গেলেও জড়িত একজন রোহিঙ্গা যুবককে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যে সৈকত সংলগ্ন ঝোঁপ থেকে ৮ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। জব্দ করা হয় চালান বহনকারি ট্রলারটিও।
ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-১৫ এর অধীন কক্সবাজার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. মেহেদী হাসান।
ধৃত রোহিঙ্গা যুবক জামাল টেকনাফ উপজেলার উনছিপ্রাং রোহিঙ্গা শিবিরের ২২ নাম্বার ক্যাম্পের ডি-২ ব্লকের মাঝি মোঃ হোসেনের ছেলে।
কক্সবাজারে স্থাপিত নতুন ব্যাটালিয়ন র্যাব-১৫ এর উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ পর্যন্ত ধরা পড়া বড় চালানগুলোর মধ্যে এই চালানটি অন্যতম। এই চালানে আট লাখ পিস ইয়াবা রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ কোটি টাকা। এই চালানের সাথে একটি বড় চক্র জড়িত রয়েছে। আটক রোহিঙ্গা যুবককে জিজ্ঞাসাবাদে এই সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাগরে বোট চলাচলের নিষিদ্ধ সময়ে কিভাবে ইয়াবা নিয়ে বোট ঢুকে- এই প্রশ্নের জবাবে উপ-অধিনায়ক মেজর রবিউল বলেন, বিষয়টি আমাদের জবাবদিহিতার আওতায় পড়ে না। সেটা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন।
মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পরও কেন ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছে না- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। র্যাব ইয়াবাসহ মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিয়ে কঠোর অভিযান জোরদার রাখা হয়েছে। তবে দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা এক বছরে পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না।
তিনি দাবি করেন, ইতিমধ্যে অনেক সাফল্য এসেছে। ইয়াবা পাচার অনেক নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মেজর রবিউল ইসলাম বলেন, শুধু উখিয়া ও টেকনাফ নয়; পুরো কক্সবাজার জেলায় ইয়াবার বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলছে। এটা অব্যাহত থাকবে।
তিনি সবার সহযোগিতাও কামনা করেন।