
কক্সবাজার জেলায় ফিতরা সর্বনিম্ন ৬০ টাকা সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা
বিশেষ প্রতিবেদক, কক্সবাজার
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখা ও ইমাম পরিষদ যৌথভাবে কক্সবাজার জেলার জন্য এবছরের ফিতরা নির্ধারণ করেছে। এবার জেলায় সর্বনিম্ন ৬০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১,০০০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
জাতীয় ইমাম সমিতি ও ইমাম পরিষদের ফিতরা নির্ধারণী যৌথসভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব ও সীতাকুন্ড কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ হযরত মাওলানা মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্টিত হয়।
সভায় উপস্থিত বরেণ্য উলামাদের পরামর্শে স্থানীয় বাজার দর যাছাই করে এই বছরের ফিতরার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়।
সভার সিদ্ধান্ত মতে, আটা ১৬৫০ গ্রামের মূল্যমান ৬০ টাকা। যা নিম্নবিত্তদের জন্য প্রযোজ্য। খেজুর ৩৩০০ গ্রামের মূল্যমান ৮৩০ টাকা। যা উচ্চ মধ্যবিত্তদের জন্য প্রযোজ্য। কিসমিস ৩৩০০ গ্রামের মূল্যমান ১,০০০ টাকা। যা উচ্চতর নেচাব, উচ্চবিত্তদের জন্য প্রযোজ্য।
এই যৌথসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব ও বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন ও ইমাম পরিষদ কক্সবাজার শাখার সভাপতি মুফতি সোলাইমান কাশেমী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার উপদেষ্টা সদস্য ও মাঝিরঘাট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, ইমাম পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক নেজামী, সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফেজ ইউনুছ ফরাজী, জাতীয় ইমাম সমিতি কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি মাওলানা রফিক বিন ছিদ্দিক, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ কমপ্লেক্সের সমন্বয়ক মাওলানা শফিউল আলম, ইমাম পরিষদের প্রচার সম্পাদক ক্বারী আত্বাউল্লাহ, জাতীয় ইমাম সমিতি শহর শাখার প্রচার সম্পাদক হাফেজ আবদুল কাদের, ইমাম পরিষদের প্রচার সম্পাদক ক্বারী অলিউল্লাহ, পূর্ব লিংকরোড জামে মসজিদের খতিব মাওলানা হাবিব উল্লাহ, টেকপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মুজাম্মেল হক, বিসিক জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সরওয়ার আলম, শহরের বৈদ্যঘোনা জামে মসজিদের খতিব হাফেজ রুহুল আসরাফ রমজান, পশ্চিম হাজী পাড়া বায়তুর রহমান জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মোঃ ফরিদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
আলেমদের এই সভা থেকে সর্বোচ্চ ফিতরা আদায় করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে এবং রমজানে যাকাত আদায় করলে অন্যান্য মাসে যাকাত প্রদান করার চেয়ে ৭০ গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া যাবে বলেও মতপ্রকাশ করা হয়। তাই রমজানে যাকাত প্রদানে সকলকে আহবান জানানো হয়।
উল্লেখ্য, যার কাছে বছরের শেষে ৪২,০০০/- (বিয়াল্লিশ হাজার টাকা) সমপরিমাণ অর্থ সম্পদ জমা থাকবে তাকে যাকাত আদায় করতে হবে।