
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে ঈদের দিনে চট্টগ্রামে আহলে সুন্নাতের মানববন্ধন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম
সম্প্রতি ইসলামের প্রথম কিবলা, মুসলমানদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পূণ্যস্থান মসজিদে আল-আকসায় ইসরায়েলি বর্বর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী রাষ্ট্রীয়ভাবে নামাজরত ফিলিস্তিনিদের উপর অমানবিক ও পাশবিকভাবে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের আহত এবং পরবর্তীতে ফিলিস্তিনের গাজায় একই কায়দায় সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে শিশুসহ অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনিকে নির্বিচারে শহিদ করার প্রতিবাদে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আল্লামা শাহ নুর মোহাম্মদ আলক্বাদেরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আব্দুন নবী আলক্বাদেরীর সঞ্চালনায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ স উ ম আব্দুস সামাদ।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনে নামাজরত মুসল্লিদের উপর অতর্কিত হামলা এবং গাজায় শিশুসহ নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার দায়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। এছাড়াও বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের এই বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। নিঃসন্দেহে ইসরায়েলের কৃত এই হামলা রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নামান্তর।’
মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশের মুখপাত্র এডভোকেট মোসাহেব উদ্দীন বখতেয়ার।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ অন্যান্য সকল বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও আজকে ফিলিস্তিন ইস্যুতে শুধুমাত্র নিন্দাপ্রস্তাব জ্ঞাপন করেই তারা ক্ষ্যান্ত হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, জাতিসংঘ কখনোই সামগ্রিকভাবে সকল দেশের শান্তির পক্ষে কাজ করে না। মুসলমানদের উপর হামলায় তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ থাকে না কোনসময়। এ বিষয়টি মাথায় নিয়ে অনতিবিলম্বে বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামী জাতিসংঘ গঠন করে মুসলিমবিরোধী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এছাড়াও ইসরায়েলি সকল পণ্যকে বর্জন করার আহ্বানও আমরা জানাচ্ছি আজকের সমাবেশ থেকে।’
মাত্র একদিন পূর্বে ঘোষিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন সর্বস্তরের মানুষ।
আলোচক হিসেবে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, আল্লামা বদিউল আলম রেজভী, মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম, ওবাইদুল মোস্তফা কদমরসুলি, নাসির উদ্দীন মাহমুদ, আল্লামা ইউনুস যুক্তিবাদী, মাওলানা শফিকুল ইসলাম আলক্বাদেরী, মাওলানা সোহাইল উদ্দীন আনসারী, মাওলানা তারেকুল ইসলাম আল ক্বাদেরী, ছাত্রসেনা কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ মারুফ রেজা, মাওলানা আবুল কাশেম তাহেরি, সৈয়্যদ মাওলানা হাসান আল আজহারি, মাওলানা জয়নাল আবেদীন ক্বাদেরী, আমান উল্লাহ আমান, মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও মুহাম্মদ গোলাম মোস্তফা।