জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব কার্যক্রম বন্ধ
1 min read

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সব কার্যক্রম বন্ধ

আনছার হোসেন, কক্সবাজার
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফে থাকা ৩৪ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের মধ্যে ৫টিতে করোনা সংক্রমণ আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত ২০ মে থেকে ওই ৫টিতেই কঠোর লকডাউন চলছে। এই লকডাউন আগামি ৩১ মে পর্যন্ত চলবে। লকডাউন কার্যকরে সরকারের করোনা সংক্রান্ত নির্দেশনা মতে কাজ চলছে।

এছাড়াও অবশিষ্ট ২৯টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে অত্যাবশ্যকীয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব নিয়মিত কার্যক্রম মঙ্গলবার (২০ মে) থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) শাহ রেজওয়ান হায়াত এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য সরবরাহ, আইনশৃংখলা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা ছাড়া ক্যাম্প গুলোতে আর সব নিয়মিত কার্যক্রম এখন বন্ধ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আগে গৃহীত কার্যক্রম সমুহও আরো জোরদার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদারকিও বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, যে রোহিঙ্গা শিবির গুলো লকডাউন করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- কুতুপালং ওয়েস্ট ২, ৩, ৪, ১৫ ও ২৪ নাম্বার। এই শিবির গুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

বিশ্বস্থ সুত্র মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম শরণার্থী শিবির বলে খ্যাত উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের প্রত্যেকটিতে করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তবে লকডাউন করা ৫টিতে অপেক্ষাকৃত বেশী করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়।

এদিকে শুক্রবার (২১ মে) পর্যন্ত ৩৪টি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ৪১ হাজার ৮৮৮ জনের নমুনা টেস্ট করে ৯৪৮ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উখিয়া উপজেলার শিবির গুলোতে ৭৭৬ জন এবং টেকনাফ উপজেলার শিবির গুলোতে ১৭২ জন। তাদের মধ্যে ১৩ জন করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা রোগী মারা গেছে।

সুত্র মতে, শুধুমাত্র গত ১৫ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত এক সপ্তাহে শিবির গুলোতে করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ১৯২ জন। আবার ১৯ মে থেকে ২১ মে এই তিনদিনে ১২৫ জন রোহিঙ্গা করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। ২০ মে পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির গুলোর অভ্যন্তরে থাকা আইসোলেসন সেন্টারে ১১৯ জন রোহিঙ্গা রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শিবির গুলোতে লকডাউন চলাকালে জরুরী বিষয় ছাড়া সবকিছুর যাতায়াত বন্ধ থাকবে। এসময় ক্যাম্প থেকে কোন শরণার্থী বা স্থানীয় মানুষ বাইরে থেকে এসে শিবিরে প্রবেশ করতে পারবে না। আবার শিবির থেকে কোন স্থানীয় মানুষ বা শরণার্থী লকডাউন চলাকালে বাইরে যেতে পারবে না। লকডাউন চলাকালে জরুরী ও অত্যাবশ্যকীয় কাজ, খাদ্য, চিকিৎসা ব্যতীত এনজিও, আইএনজিও, জাতিসংঘের সংস্থাসহ শিবিরগুলোতে কর্মরত সংশ্লিষ্ট সকলের গাড়ি চলাচল ও আসা-যাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *