পরীমণিকে ‘ধর্ষণচেষ্টাকারি’ অমি ধনী পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান
1 min read

পরীমণিকে ‘ধর্ষণচেষ্টাকারি’ অমি ধনী পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান

ডেস্ক রিপোর্ট
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমি (৩৩) হলেন ধনী পরিবারের বখে যাওয়া সন্তান।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য একাধিক সূত্র মতে, ক্লাব পাড়ায় অমিও একজন পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেনের অঢেল সম্পদ রয়েছে। একমাত্র সন্তান হওয়ায় এর উত্তরাধিকারী অমি। বিত্তশালী ও তাদের বখে যাওয়া সন্তানদের বিপথে নিতে তার জুড়ি নেই। ঢাকার উত্তরা ও আশকোনায় তাদের একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে। ওই এলাকায় এক নামে তাকে সবাই চেনে। আশকোনায় তাদের সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সূত্র মতে, শতশত কর্মী বিদেশে পাঠিয়ে ও প্রতারণা করে কোটি কোটি মালিক হন অমির বাবা। বিদেশে কর্মী পাঠানোর সূত্র ধরে সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে অমির পরিবারের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তাদের আলিশান একাধিক বাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুলও। অমির গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। সেখানে অনেক সম্পদ গড়েছেন। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমও গড়েছেন অমি।

রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার দাবি করেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় তার বনানীর বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানান তিনি।

পরীমণির ভাষ্য মতে, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে দুটি গাড়িতে করে উত্তরার উদ্দেশে বেরোন তারা। পথে অমি নামের সঙ্গীদের একজন দুই মিনিটের কাজের কথা বলে তাদের বোট ক্লাবে নিয়ে যান। এ সময় পরীমণির সঙ্গে তার কস্টিউম ডিজাইনার জিমিও ছিলেন। ক্লাবের ভেতরে পরীমণিকে নির্যাতন করার সময় প্রতিবাদ করতে গিয়ে জিমিও হামলার শিকার হন। এই জিমির মাধ্যমে বছর দুয়েক আগে অমির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল পরীমণির।

এদিকে এই ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সোমবার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ছয়জনের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন পরীমণি। পরে দুপুরে ডিবি পুলিশের একটি টিম উত্তরা থেকে নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫), তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ (৩৩) পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার হওয়া বাকিরা হলেন লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা (২৪)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *