হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দিল নদীতে, আবারও নৃশংসতা মহেশখালীতে!

হত্যার পর লাশ ভাসিয়ে দিল নদীতে, আবারও নৃশংসতা মহেশখালীতে!

আনছার হোসেন, কক্সবাজার
বিসিবিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম

কক্সবাজারের অন্যতম দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর রাজঘাট (ওয়াপদাপাড়া) এলাকা থেকে ভাসমান একটি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যক্তির নাম একরামুল হক। তিনি ওই ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

স্থানীয় কোহেলিয়া নদীতে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও নিহতের মামা লিয়াকত আলী খান ওই মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেন।

স্থানীয়দের মতে, কবির ডাকাতকে ধরিয়ে দিয়েছিলেন নিহত এই একরামুল হক। তারই রেশ ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন নিহতের মামা লিয়াকত আলী।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) মধ্যরাত তিনটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, হত্যার পর একরামুল হকের মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।

মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হাই সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে একরামুল হক নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথা, পাসহ বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

ওসি জানান, নিহত একরামুল হক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে আত্মসমর্পণকারিদের মধ্যে একজন।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, কারামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন একরামুল হক। তাকে কে বা কারা; কেন হত্যা করলো, এলাকাবাসির কাছে তা অজানা। যেসকল জলদস্যু ও অস্ত্রকারবারি আত্মসমর্পন করেনি, তারাই এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।

খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মুহাম্মদ উল্লাহও। তিনি বলেন, কেন, কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ক্ল্যু অবশ্য উদঘাটন হবে।

ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছমি উদ্দিন।

অপরদিকে অপরাধ জগত থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা শেখ মুজিব নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘কারামুক্ত হয়ে আমরা সুন্দর জীবনযাপন করছি। চিহ্নিত ডাকাত-সন্ত্রাসিদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করি। বিশেষ করে কবির, শাকের উল্লাহ, কানা ফারুক, আরিফদের ধরিয়ে দিয়েছি। তারাই একরাম হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে।’

এই পোর্টালে প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।




এই পাতার আরও সংবাদ